রাজবলহাট ও রাজবল্লভী মাতার মন্দির :
রাজবলহাট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলী জেলার অন্তর্গত একটি সেন্সাস টাউন।
অতীতের ভুরশুট রাজ্যের রাজধানী ছিল রাজবলহাট। শনিভানগড়ের মৎসজীবি রাজা, চতুরানন্দ নামক এক ব্যক্তির কাছে পরাজিত হন। চতুরানন্দের নাতি কৃষ্ণ রায় ভুরশুট রাজ্য স্থাপন করেন ১৫৮৩-৮৪ খৃষ্টাব্দে। তার বংশধর প্রতাপ নারায়ণ ছিলেন প্রজাপালক ও দাতা প্রকৃতির রাজা। তার পুত্র শিবনারায়ন, তস্য পুত্র নরনারায়ণ রায় ভুরশুটে রাজত্ব করেন। নরনারায়নের রাজত্বকালের শেষে বা তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বর্ধমান রাজ কীর্তিচন্দ্র ভুরশুট রাজ্য দখল করে নেন। ভুরশুট রাজ্যের রাজধানী রাজবলহাটে তিনটি গড় বা দুর্গ ছিল যদিও বর্তমানে তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না। ৫০০ বিঘা জমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে দান করেছিলেন ভূরশুট রাজারা দেবী রাজবল্লভীর মন্দিরের সেবায়।
অতীতের ভুরশুট রাজ্যের রাজধানী ছিল রাজবলহাট। শনিভানগড়ের মৎসজীবি রাজা, চতুরানন্দ নামক এক ব্যক্তির কাছে পরাজিত হন। চতুরানন্দের নাতি কৃষ্ণ রায় ভুরশুট রাজ্য স্থাপন করেন ১৫৮৩-৮৪ খৃষ্টাব্দে। তার বংশধর প্রতাপ নারায়ণ ছিলেন প্রজাপালক ও দাতা প্রকৃতির রাজা। তার পুত্র শিবনারায়ন, তস্য পুত্র নরনারায়ণ রায় ভুরশুটে রাজত্ব করেন। নরনারায়নের রাজত্বকালের শেষে বা তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরে বর্ধমান রাজ কীর্তিচন্দ্র ভুরশুট রাজ্য দখল করে নেন। ভুরশুট রাজ্যের রাজধানী রাজবলহাটে তিনটি গড় বা দুর্গ ছিল যদিও বর্তমানে তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়না। ৫০০ বিঘা জমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে দান করেছিলেন ভূরশুট রাজারা দেবী রাজবল্লভীর মন্দিরের সেবায়।
রাজবল্লভী কালীমন্দির রাজবলহাটের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। রাজবল্লভী দেবীর নামানুসারে এই জায়গাটি রাজবলহাট নামে পরিচিত। জাঙ্গীপাড়া ও রাজবলহাট সংলগ্ন এলাকায় দেবী দুর্গা রাজবল্লভী দেবী রূপে পূজিতা হন। ভূরিশ্রেষ্ঠ রাজ, রাজা রুদ্রনারায়ন রায় এই মন্দির নির্মান করেন ষোড়শ শতকে।
রাজবল্লভী কালীবিগ্রহ ছয় ফুট উচ্চ ও শ্বেতবর্ণা। গঙ্গামাটি দিয়ে বিগ্রহ নির্মিত। ত্রিনয়নী মুণ্ডমালিনী দ্বিভূজা বিগ্রহের ডানহাতে ছুরি ও বামহাতে রক্তপাত্র। বিগ্রহটি শ্বেতকালিকা নামেও বিখ্যাত। এই মন্দির চত্বরে রাজবল্লভী দেবীর মন্দির ছাড়াও একাধিক মন্দির রয়েছে। সেগুলি হল : শ্রী ত্র্যম্বকেশ্বর শিবমন্দির, শ্রী সোমেশ্বর শিবমন্দির, শ্রী রাজরাজেশ্বর শিবঃ ও শ্রী নন্দীশ্বর শিবমন্দির ও শ্রী বাণেশ্বর শিবমন্দির। এছাড়াও আছে একটি নাট্যমন্দির। নাট্যমন্দিরটি স্থাপিত হয় ১৫ ই মাঘ, ১৩৪৬ শকাব্দ (29 Jan,1940)। 'পীঠ নির্নয়' গ্রন্থে এই স্থানটি অন্যতম শাক্তপীঠ হিসেবে পরিগণিত হয়। এছাড়া রাজবল্লভী মন্দিরে রোজ ভোগ খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়। ভোগের জন্য ২৫ টাকা দিয়ে কূপন কাটতে হয়। সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত কূপন দেওয়া হয়। আর ভোগ খাওয়ানো শুরু হয় দুপুর ২ টো থেকে।
মন্দির যাওয়ার পথ |
রাজবল্লভী মন্দির ২ |
মন্দির যাওয়ার দরজা |
৩ টি শিব মন্দির |
বাণেশ্বর শিবমন্দির
নাট্যমন্দির |
রাজবল্লভী মন্দির |
ভোগ খাওয়ার সময় |
চলছে ভোগ বিতরণ |
ভোগ খাওয়ার পরে |
Photography AKC
DATE : 05.05.2018
PLACE : RAJBALHAT, HOOGHLY, WB,INDIA
PLACE : RAJBALHAT, HOOGHLY, WB,INDIA
INFO : বাংলা উইকিপিডিয়া
No comments:
Post a Comment