সত্যি ! মিলন হলো এতদিনে 🤗
১৮ দিন পর সবে টাইফয়েড সেরে উঠেছি। দেড় মাসের ওপর হয়ে গেছে কোথাও ঘুরতে যাইনি। মন খুবই উতলা হয়ে উঠেছিল। কিন্তু যাবোটা কোথায়? আর লং ট্রিপ নাকি আমার চিরাচরিত ডে ট্রিপেই যাব? লং ট্রিপ করার মতো টাকা নেই হাতে। আর তাছাড়া ২০১৭ সালের মালদা ট্রিপ ছাড়া আর কোনোরকম লং ট্রিপ করার অভিজ্ঞতাও ছিল না। এরকম একটা সময়ে ইউটিউব ঘাটতে ঘাটতে পেলাম একটি জায়গার হদিস। যেটি একদিনে ঘুরে আসা যাবে, ট্রেকিং এর একটা স্বাদও পাওয়া যাবে, একটা নতুন অচেনা জায়গায় প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো যাবে এবং আমার প্রেম পাহাড়ের সাথে প্রথমবারের মতো দেখাও হবে।
কমলা ফলস্ - শিলিগুড়ির কালিঝোড়া তে অবস্থিত একটি ছোট্ট অথচ সুন্দর ঝর্ণা। যেখানে মানুষের যাতায়াত কম। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য কে এত সামনে থেকে অনুভব করার এই সুযোগ টিকে ছাড়তে চাইনি। আর সঙ্গীর অভাবও ছিল না। অনিশ কে বললাম আমার মনের কথা। অনিশও এককথায় রাজি।(প্রসঙ্গত : অনিশের বাড়ি শিলিগুড়িতে। আমার সাথে ওর আলাপ ফেসবুক থেকে। ওর সাথে আলাপের পর থেকেই আমার শিলিগুড়ি ঘোরার ইচ্ছা আরও বেড়েছিল। আর সত্যি কথা বলতে অনিশ ছাড়া শিলিগুড়ি আমার মনের মতো করে ঘোরা সম্ভব হত না।) তাই আর সাত পাঁচ কিছু না ভেবে কমলা ফলস্ এর উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি যাব এই মনস্থির করলাম।
কমলা ফলস্ - শিলিগুড়ির কালিঝোড়া তে অবস্থিত একটি ছোট্ট অথচ সুন্দর ঝর্ণা। যেখানে মানুষের যাতায়াত কম। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য কে এত সামনে থেকে অনুভব করার এই সুযোগ টিকে ছাড়তে চাইনি। আর সঙ্গীর অভাবও ছিল না। অনিশ কে বললাম আমার মনের কথা। অনিশও এককথায় রাজি।(প্রসঙ্গত : অনিশের বাড়ি শিলিগুড়িতে। আমার সাথে ওর আলাপ ফেসবুক থেকে। ওর সাথে আলাপের পর থেকেই আমার শিলিগুড়ি ঘোরার ইচ্ছা আরও বেড়েছিল। আর সত্যি কথা বলতে অনিশ ছাড়া শিলিগুড়ি আমার মনের মতো করে ঘোরা সম্ভব হত না।) তাই আর সাত পাঁচ কিছু না ভেবে কমলা ফলস্ এর উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি যাব এই মনস্থির করলাম।
জুলাই,২৮ -
সকাল থেকে কিছুটা চিন্তিত আবার প্রথমবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার ভাবনায় অত্যন্ত আনন্দিতও। চিন্তিত ছিলাম দুটি কারণে। এক, প্রথম বার শিলিগুড়ি যাচ্ছি, তাও মাত্র একদিনের জন্য। কীরকম ঘুরব সেই বিষয়ে। দুই, অনলাইনে কাটা ট্রেনের টিকিট টি এখনও কনফার্ম হয়নি।
বিকালের পর অবশ্য আমার চিন্তা অনেক টাই গেল কমে। টিকিট কনফার্ম। চার্ট ও তৈরি। রাত সাড়ে আট টায় ট্রেন। ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। সন্ধ্যা ৭ টায় রেডি হয়ে আমার দুই সঙ্গী (ব্যাগ ও টুপি) কে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম শিয়ালদহ স্টেশন এর উদ্দেশ্যে।
সকাল থেকে কিছুটা চিন্তিত আবার প্রথমবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার ভাবনায় অত্যন্ত আনন্দিতও। চিন্তিত ছিলাম দুটি কারণে। এক, প্রথম বার শিলিগুড়ি যাচ্ছি, তাও মাত্র একদিনের জন্য। কীরকম ঘুরব সেই বিষয়ে। দুই, অনলাইনে কাটা ট্রেনের টিকিট টি এখনও কনফার্ম হয়নি।
বিকালের পর অবশ্য আমার চিন্তা অনেক টাই গেল কমে। টিকিট কনফার্ম। চার্ট ও তৈরি। রাত সাড়ে আট টায় ট্রেন। ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। সন্ধ্যা ৭ টায় রেডি হয়ে আমার দুই সঙ্গী (ব্যাগ ও টুপি) কে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম শিয়ালদহ স্টেশন এর উদ্দেশ্যে।
স্টেশন যখন পৌছালাম তখন সময় সন্ধ্যা ৭:৪৫। হাতে অনেকটাই সময় ছিল। ভিডিও শ্যুট করতে থাকলাম। ওহঃ বলাই হয়নি। একটা নতুন ভিডিও ক্যামেরা কিনেছিলাম দু দিন আগেই। ট্রাভেল ভিডিও করার একটা সুপ্ত মনোবাসনা ছিল অনেকদিন থেকেই। অবশেষে সেই সুপ্ত মনোবাসনা গুপ্ত পথে পূরণ হল এই শিলিগুড়ি ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে। যাইহোক ট্রেন হাজির যথা সময়ে। সাড়ে এগারো ঘন্টার জার্নি। ট্রেন ছাড়ল ২০ মিনিট লেট করে।
রাত ৯:৪০ -
এত তাড়াতাড়ি ডিনার আমি শেষ কবে করেছি জানিনা। বাবার তৈরি করে দেওয়া চাউ খেয়ে নিলাম ঝটপট। তারপর শুধুই জানলার পাশে বসে অপেক্ষা।সেই অপেক্ষার ফাঁকেই যে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম খেয়ালই ছিল না।
এত তাড়াতাড়ি ডিনার আমি শেষ কবে করেছি জানিনা। বাবার তৈরি করে দেওয়া চাউ খেয়ে নিলাম ঝটপট। তারপর শুধুই জানলার পাশে বসে অপেক্ষা।সেই অপেক্ষার ফাঁকেই যে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম খেয়ালই ছিল না।
জুলাই,২৯
ভোর ৫:৩৫ -
পেরোলাম ডালখোলা স্টেশন। ট্রেন প্রায় এক ঘন্টা লেটে চলছিল। আমি শুরু করে দিলাম আমার ভিডিও রেকর্ডিং এর কাজ। এরই মাঝে একে একে পেরোলাম কিষাণগঞ্জ ও আলুবাড়ি রোড জংশন। এবার ঢোকার পালা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। নর্থ বেঙ্গলের গন্ধ পেতে শুরু করলাম। ট্রেনের জানালা থেকে দেখতে পেলাম অনেক চা বাগান। তার ভিডিও করতে থাকলাম।
ভোর ৫:৩৫ -
পেরোলাম ডালখোলা স্টেশন। ট্রেন প্রায় এক ঘন্টা লেটে চলছিল। আমি শুরু করে দিলাম আমার ভিডিও রেকর্ডিং এর কাজ। এরই মাঝে একে একে পেরোলাম কিষাণগঞ্জ ও আলুবাড়ি রোড জংশন। এবার ঢোকার পালা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। নর্থ বেঙ্গলের গন্ধ পেতে শুরু করলাম। ট্রেনের জানালা থেকে দেখতে পেলাম অনেক চা বাগান। তার ভিডিও করতে থাকলাম।
সকাল ৮:১৪ -
পৌছালাম নিউ জলপাইগুড়ি জংশন। ট্রেন থেকে বেড়িয়ে একটু ঘুরে নিলাম স্টেশন চত্ত্বর। বা বলতে পারেন উওরবঙ্গকে অনুভব করার জন্য একটু বেড়িয়েছিলাম আর কি !
পৌছালাম নিউ জলপাইগুড়ি জংশন। ট্রেন থেকে বেড়িয়ে একটু ঘুরে নিলাম স্টেশন চত্ত্বর। বা বলতে পারেন উওরবঙ্গকে অনুভব করার জন্য একটু বেড়িয়েছিলাম আর কি !
সকাল ৮:৪৫ -
পৌছালাম বহু প্রতীক্ষিত শিলিগুড়ি জংশনে। নেমেই ঘটল বিপত্তি। স্টেশনের ছবি তুলতে গিয়ে ধরা পড়লাম মামা(পুলিশ) দের হাতে।
-- তুমি জানো না স্টেশন চত্বরে ছবি তোলা নিষেধ?
-- সরি স্যার, আসলে প্রথমবার ট্রেনে ভ্রমণ তো তাই আর কি, ভুল হয়ে গেছে (প্রথম ঢপ)
-- ছবিটা এক্ষুনি ডিলিট করো।
-- হ্যাঁ স্যার ডিলিট করে দিয়েছি।(দ্বিতীয় ঢপ)
পৌছালাম বহু প্রতীক্ষিত শিলিগুড়ি জংশনে। নেমেই ঘটল বিপত্তি। স্টেশনের ছবি তুলতে গিয়ে ধরা পড়লাম মামা(পুলিশ) দের হাতে।
-- তুমি জানো না স্টেশন চত্বরে ছবি তোলা নিষেধ?
-- সরি স্যার, আসলে প্রথমবার ট্রেনে ভ্রমণ তো তাই আর কি, ভুল হয়ে গেছে (প্রথম ঢপ)
-- ছবিটা এক্ষুনি ডিলিট করো।
-- হ্যাঁ স্যার ডিলিট করে দিয়েছি।(দ্বিতীয় ঢপ)
ছবি অবশ্য ডিলিট করে দিয়েছিলাম। তবে সেটা ছিল আমার তোলা একটা সেলফি 😛
যাইহোক মামাদের হাত থেকে রেহাই পাবার পর শুরু হল বৃষ্টির বিপত্তি। মুষলধারে বৃষ্টি নামল।ভয় হতে থাকল, বৃষ্টি র চক্বরে আমার ট্রিপ টাই না ভেস্তে যায়। ফোন করলাম অনিশকে। বলল আধ ঘন্টার মধ্যে চলে আসবে ও। বৃষ্টি থামার ও অনিশের আশার অপেক্ষা করতে থাকলাম স্টেশনে বসে। এরই মাঝে প্রথমবার সামনাসামনি দর্শন হল টয়ট্রেনের।
সকাল ৯:০৫ -
অনিশ হাজির। বৃষ্টিও থেমে গেছে। শুরু করলাম আমাদের জার্নি। অনিশ এর আগে সেভক গেলেও কালিঝোড়া তার যাওয়া হয়নি। যাইহোক আমরা প্রথমে গেলাম শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ডে। জানা গেল কালিম্পং যাবার বাসগুলো কালিঝোড়া হয়েই যায় এবং ১০:২৫ এ আছে কালিম্পং যাবার একটি বাস। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এতটা সময় নষ্ট করার মনোবাসনা আমাদের বিন্দুমাত্রও ছিল না। অনিশের কথামতো বাসস্ট্যান্ড থেকে দশ মিনিটের হাঁটাপথের দূরত্বে আমরা গেলাম একটি অটো স্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ট্রেকারে করে গেলাম আর একটি বাস স্ট্যান্ডে যার নাম পি সি মিত্তল মেমোরিয়াল বাস টার্মিনাস। ওখান থেকে উঠলাম সেভক যাবার একটি বাসে। আমার প্ল্যান ছিল আমরা ব্রেক জার্নি করে প্রথমে যাব সেভক। তারপর সেখান থেকে যাব কালিঝোড়া।
অনিশ হাজির। বৃষ্টিও থেমে গেছে। শুরু করলাম আমাদের জার্নি। অনিশ এর আগে সেভক গেলেও কালিঝোড়া তার যাওয়া হয়নি। যাইহোক আমরা প্রথমে গেলাম শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ডে। জানা গেল কালিম্পং যাবার বাসগুলো কালিঝোড়া হয়েই যায় এবং ১০:২৫ এ আছে কালিম্পং যাবার একটি বাস। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এতটা সময় নষ্ট করার মনোবাসনা আমাদের বিন্দুমাত্রও ছিল না। অনিশের কথামতো বাসস্ট্যান্ড থেকে দশ মিনিটের হাঁটাপথের দূরত্বে আমরা গেলাম একটি অটো স্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ট্রেকারে করে গেলাম আর একটি বাস স্ট্যান্ডে যার নাম পি সি মিত্তল মেমোরিয়াল বাস টার্মিনাস। ওখান থেকে উঠলাম সেভক যাবার একটি বাসে। আমার প্ল্যান ছিল আমরা ব্রেক জার্নি করে প্রথমে যাব সেভক। তারপর সেখান থেকে যাব কালিঝোড়া।
সকাল ১০:২৫ -
পৌছালাম সেভক। বাস থেকে নেমে কোরোনেশন ব্রিজের ওপর থেকে প্রকৃতির যে রূপ আমি দেখলাম তার লিখে বর্ণনা করা আমার পক্ষে অসম্ভব। এত সুন্দর লাগছিল সেভক পাহাড় ও তার নীচে দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীকে যে কিছুক্ষণের জন্য হলেও কমলা ফলস্ ঘুরতে যাওয়ার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। এরই মাঝে দেখা হল এক ভ্রমণপ্রিয় মানুষের সাথে। মিজানুর রহমান। কাজের সূত্রে তিনি এখন থাকেন নর্থ বেঙ্গলই। সপ্তাহান্তে ছুটি পেয়ে একাই বেড়িয়ে পড়েছিলেন সেভক ঘুরতে। অনিশের থেকে যখন জানলেন যে আমিও ঘুরতে এসেছি এখানে তখন তিনিও ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন একসাথে ঘোরার ব্যাপারে। আমরা তো এককথায় রাজি। একজন ভ্রমণসঙ্গী বাড়ল। আমরা ঠিক করলাম গাড়ি নয়, হাঁটাপথেই পেরোবো সেভক থেকে কালিঝোড়ার দূরত্ব। কারণ গাড়িতে বসে প্রকৃতির এই রূপ ও পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার এই সুবর্ণ সুযোগ আমরা মিস করতে চাইনি।
পৌছালাম সেভক। বাস থেকে নেমে কোরোনেশন ব্রিজের ওপর থেকে প্রকৃতির যে রূপ আমি দেখলাম তার লিখে বর্ণনা করা আমার পক্ষে অসম্ভব। এত সুন্দর লাগছিল সেভক পাহাড় ও তার নীচে দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীকে যে কিছুক্ষণের জন্য হলেও কমলা ফলস্ ঘুরতে যাওয়ার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। এরই মাঝে দেখা হল এক ভ্রমণপ্রিয় মানুষের সাথে। মিজানুর রহমান। কাজের সূত্রে তিনি এখন থাকেন নর্থ বেঙ্গলই। সপ্তাহান্তে ছুটি পেয়ে একাই বেড়িয়ে পড়েছিলেন সেভক ঘুরতে। অনিশের থেকে যখন জানলেন যে আমিও ঘুরতে এসেছি এখানে তখন তিনিও ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন একসাথে ঘোরার ব্যাপারে। আমরা তো এককথায় রাজি। একজন ভ্রমণসঙ্গী বাড়ল। আমরা ঠিক করলাম গাড়ি নয়, হাঁটাপথেই পেরোবো সেভক থেকে কালিঝোড়ার দূরত্ব। কারণ গাড়িতে বসে প্রকৃতির এই রূপ ও পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার এই সুবর্ণ সুযোগ আমরা মিস করতে চাইনি।
সকাল ১০:২৫ থেকে দুপুর ১২:২০ -
দেড় ঘন্টার এই সফরটি আমি কোনোদিনও ভুলতে পারব না। পাহাড়ি ঝর্ণা, সেভক পাহাড়, তিস্তা নদী, আঁকা বাঁকা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাঁটা সবই আমার কাছে কেমন যেন স্বপ্নের মতো লাগছিল। সাথে বাড়তি পাওনা ছিল অনিশ ও মিজানুর দার মতো দুজন সঙ্গী।
দেড় ঘন্টার এই সফরটি আমি কোনোদিনও ভুলতে পারব না। পাহাড়ি ঝর্ণা, সেভক পাহাড়, তিস্তা নদী, আঁকা বাঁকা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাঁটা সবই আমার কাছে কেমন যেন স্বপ্নের মতো লাগছিল। সাথে বাড়তি পাওনা ছিল অনিশ ও মিজানুর দার মতো দুজন সঙ্গী।
দুপুর ১২:২০ -
পৌছালাম কালিঝোড়া ব্রিজ। সকাল থেকে কারুরই তেমন কিছু খাওয়া হয়নি। এবং সেভক থেকে কালিঝোড়ার মাঝে কোনো খাবারের দোকানও আমাদের চোখে পড়েনি। কালিঝোড়া ব্রিজের কাছে আমরা পেলাম পাশাপাশি কয়েকটি দোকানের দেখা। অবশ্য কোনো দোকানেই ভাত বা রুটি পাইনি। থাকার মধ্যে একটি দোকানে মোমো পাওয়া গেলেও তৈরি করা ছিল না। তৈরি করতে অনেকটা সময় লাগবে জেনে আমরা মোমো খাওয়ার বাসনা ত্যাগ করে চা আর বিস্কুট খেয়েই পেট ভরালাম।
পৌছালাম কালিঝোড়া ব্রিজ। সকাল থেকে কারুরই তেমন কিছু খাওয়া হয়নি। এবং সেভক থেকে কালিঝোড়ার মাঝে কোনো খাবারের দোকানও আমাদের চোখে পড়েনি। কালিঝোড়া ব্রিজের কাছে আমরা পেলাম পাশাপাশি কয়েকটি দোকানের দেখা। অবশ্য কোনো দোকানেই ভাত বা রুটি পাইনি। থাকার মধ্যে একটি দোকানে মোমো পাওয়া গেলেও তৈরি করা ছিল না। তৈরি করতে অনেকটা সময় লাগবে জেনে আমরা মোমো খাওয়ার বাসনা ত্যাগ করে চা আর বিস্কুট খেয়েই পেট ভরালাম।
এবার মিজানুর দাকে বিদায় জানাবার পালা। বিকেলে ট্রেন থাকার দরুন ইচ্ছা থাকলেও কমলা ফলস্ দেখতে যাওয়া সম্ভবপর ছিল না দাদার পক্ষে। অগত্যা মিজানুর দাকে বিদায় জানিয়ে আমি আর অনিশই রওনা দিলাম কমলা ফলসে্র উদ্দ্যেশ্যে। তবে রাস্তা আমাদের চেনা ছিল না। কয়েকজন কে জিজ্ঞাসা করেও বক্সিঝোড়া (কমলা ফলসে্র স্থানীয় নাম) কীভাবে পৌছাব তার হদিস পেলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও যখন কমলা ফলস্ যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পেলাম না তখন একটি জায়গার RESTRICTED AREA লেখা একটা বোর্ড চোখে পড়ল। কমলা ফলস্ না পাওয়ায় হতাশা ভুলতে আমরা এই জায়গাটিকেই বাছলাম। এবং সত্যি বলতে জায়গাটির ভেতরে ঢোকার পর আমাদের হতাশা পুরো মাত্রায় কেটে গেছিল। ছবি ও ভিডিও দেখলে কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন আপনারা যে কেন আমরা হতাশ হয়নি।
সময় ২:৫০ -
অনেকটা সময় RESTRICTED AREA তে কাটানোর পর এবার ফেরার পালা। ঠিক করলাম বাসের জন্য অপেক্ষা না করে হেঁটেই যাব সেভক পর্যন্ত। সেই মতো রওনাও দিলাম। কিন্তু কিছুটা পথ এগোনোর পর দেখা মিলল কিছু গুন্ডা টাইপের বানরের। যার মধ্যে একটি আবার আমাদের পিছু করতে শুরু করল। এবং আমরাও বাধ্য হয়ে পিছু হটতে থাকলাম। অনিশের মুখে শুনলাম এই বানর গুলো হাতে থাকা জিনিস কেড়ে নিতে সিদ্ধহস্ত। তাই আমাকে আমার ক্যামেরা ব্যাগে ভরে রাখতে হল এবং পিছু করা বানরটির হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌছালাম যে সেভক পর্যন্ত বাকিটা পথ বাসেই যাব। আর সেইমতো একটি বাস পেয়ে আমরা উঠেও পড়লাম।
অনেকটা সময় RESTRICTED AREA তে কাটানোর পর এবার ফেরার পালা। ঠিক করলাম বাসের জন্য অপেক্ষা না করে হেঁটেই যাব সেভক পর্যন্ত। সেই মতো রওনাও দিলাম। কিন্তু কিছুটা পথ এগোনোর পর দেখা মিলল কিছু গুন্ডা টাইপের বানরের। যার মধ্যে একটি আবার আমাদের পিছু করতে শুরু করল। এবং আমরাও বাধ্য হয়ে পিছু হটতে থাকলাম। অনিশের মুখে শুনলাম এই বানর গুলো হাতে থাকা জিনিস কেড়ে নিতে সিদ্ধহস্ত। তাই আমাকে আমার ক্যামেরা ব্যাগে ভরে রাখতে হল এবং পিছু করা বানরটির হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌছালাম যে সেভক পর্যন্ত বাকিটা পথ বাসেই যাব। আর সেইমতো একটি বাস পেয়ে আমরা উঠেও পড়লাম।
দুপুর ৩:৩০ -
পৌছালাম সেভক। কমলা ফলস্ দেখতে যাবার চক্করে সেভক ঠিক মতো ঘোরাই হয়নি আমার। তাই স্টেশন ফেরার আগে কিছুক্ষণের জন্য সেভক ঘোরা শুরু করলাম। সেভকের প্রধান আকর্ষণ কোরোনেশন ব্রিজ বা সেভক ব্রিজ। স্থানীয় মানুষের কাছে অবশ্য এটি বাঘপুল নামে বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও এখানে পাহাড় কেটে তৈরি হয়েছে সেভকেশ্বরী কালী ও আরও একটি মন্দির। মন্দিরে উঠতে হবে জুতো খুলে মন্দিরের পাশে একটি জায়গায় জমা দিয়ে। আর তার জন্য খরচ করতে হবে ১০ টাকা।আমরা কোনো মন্দিরেই উঠিনি।
পৌছালাম সেভক। কমলা ফলস্ দেখতে যাবার চক্করে সেভক ঠিক মতো ঘোরাই হয়নি আমার। তাই স্টেশন ফেরার আগে কিছুক্ষণের জন্য সেভক ঘোরা শুরু করলাম। সেভকের প্রধান আকর্ষণ কোরোনেশন ব্রিজ বা সেভক ব্রিজ। স্থানীয় মানুষের কাছে অবশ্য এটি বাঘপুল নামে বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও এখানে পাহাড় কেটে তৈরি হয়েছে সেভকেশ্বরী কালী ও আরও একটি মন্দির। মন্দিরে উঠতে হবে জুতো খুলে মন্দিরের পাশে একটি জায়গায় জমা দিয়ে। আর তার জন্য খরচ করতে হবে ১০ টাকা।আমরা কোনো মন্দিরেই উঠিনি।
দুপুর ৩:৫৫ -
স্টেশনের উদ্দ্যেশ্যে বাসে উঠলাম। যেতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু কিছু করার নেই। ফিরতে হবেই সেই দমবন্ধ করা পরিবেশের মধ্যে। শুধু কয়েক ঘন্টার এই সফরটি একটা সুন্দর স্মৃতি হিসেবে সারাজীবন মনে থেকে যাবে আমার। আমার প্রথম পাহাড় দেখা। আমার প্রথম উত্তরবঙ্গ দর্শন।
স্টেশনের উদ্দ্যেশ্যে বাসে উঠলাম। যেতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু কিছু করার নেই। ফিরতে হবেই সেই দমবন্ধ করা পরিবেশের মধ্যে। শুধু কয়েক ঘন্টার এই সফরটি একটা সুন্দর স্মৃতি হিসেবে সারাজীবন মনে থেকে যাবে আমার। আমার প্রথম পাহাড় দেখা। আমার প্রথম উত্তরবঙ্গ দর্শন।
সত্যি, মিলন হলো এতদিনে।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন |
শিলিগুড়ি জংশন |
মহানন্দা নদী |
সেভক পাহাড় ও তিস্তা নদী ১ |
সেভক পাহাড় ও তিস্তা নদী ২ |
কোরোনেশন ব্রিজ, সেভক |
সেভকেশ্বরী মন্দির, সেভক |
মন্দির নং ২, সেভক |
সেভক পাহাড় ১ |
সেভক পাহাড় ২ |
সেভক পাহাড় ৩ |
পাহাড়ি ঝর্ণা ১ কালিঝোড়া যাওয়ার পথে |
সেভক পাহাড় ও তিস্তা নদী (প্যানোরামা ভিউ) ৩ |
সেভক পাহাড় ও তিস্তা নদী ৪ |
পাহাড়ি ঝর্ণা ২ কালিঝোড়া যাওয়ার পথে |
পাহাড়ি ঝর্ণা ৩ কালিঝোড়া যাওয়ার পথে |
কালিঝোড়া ড্যাম ১ |
কালিঝোড়া ড্যাম ২ |
কালিঝোড়া ড্যাম ৩ |
কালিঝোড়া |
কালিঝোড়া ব্রিজের ওপর থেকে তোলা তিস্তা নদীর ছবি। |
পাহাড়ি রাস্তা কালিঝোড়া |
RESTRICTED AREA র ভিতরে। এই পথ দিয়েই যাওয়া যায় কমলা ফলস্। |
RESTRICTED AREA র ভিতরে ২ |
RESTRICTED AREA র ভিতরে ৩ |
RESTRICTED AREA র ভিতরে ৪ |
RESTRICTED AREA র ভিতরে ৫ |
Photography AKC
DATE : 29.07.2018
No comments:
Post a Comment